শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
নলছিটিতে সূর্যমুখির হাসিতে কৃষকের মুখে হাসি

নলছিটিতে সূর্যমুখির হাসিতে কৃষকের মুখে হাসি

আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় সূর্যমুখীর হাসিতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। যতদূর চোখ যায়, সূর্যের দিকে মুখ করে হাসছে সূর্যমুখী। আর এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। এরই মধ্যে সূর্যমুখীর হাসিতে ভাল ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা।

নলছিটি উপজেলার সারদল গ্রামের কৃষক মোঃ হেলাল তালুকদার জানান তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন ৷ তার জমিতে হাসি ফুটিয়েছে সূর্যমুখী ৷ তা দেখতে শহর থেকে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থীরাই সেখানে ভীর জমায় ৷

তিনি আরও বলেন আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে ৩৩ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করি। বর্তমানে সুর্যমুখী ক্ষেতে ভাল ফুল আসতে শুরু করেছে। এমন পরিবেশে সূর্যমুখী ফুল অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। অনেকেই সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আবার অনেকেই ক্ষেতে ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন। এগুলো আমার কাছে ভালোই লাগছে ৷ তবে কিছু কিছু লোক ক্ষেতের ফুল ছিড়ে নষ্ট করছে যার কারনে আমাদের সবসময় ক্ষেতের আশেপাশে থাকতে হচ্ছে ৷

তিনি দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগের নামে আমাদের গাছের ফুল ছিড়ে নষ্ট করবেন না ৷ এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয় ৷ এ সূর্যমুখী চাষে আমরা যদি সাফল্য না পাই, লাভ না হয়ে উল্টো ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে কৃষকরা এ তেল জাতীয় ফসল চাষে আগ্রহ হারাবেন।

এবিষয়ে নলছিটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি এ প্রতিবেদককে জানান এবছর উপজেলায় সূর্যমুখির বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় সূর্যমুখি চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিলো ২৫ হেক্টর। কিন্তু সূর্যমুখির ফুলের চাষ লাভ জনক হওয়ায় তা লক্ষমাত্রার আড়াইগুন ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় মোট ৭৬ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখির ফুলের চাষ হয়েছে। সরকারের ভর্তুকি, কৃষি বিভাগের নিবিড় তত্তাবধানে ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর সূর্যমুখির বাম্পার ফলন হয়েছে।

সূর্যমুখির তৈলে কোলেস্ট্রোল কম থাকায় দিন দিন বাজারে এ তেলের চাহিদা ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সূর্যমুখির খৈলে উচ্চ মানের পুষ্টিগুন থাকায় পশুপাখি মাছসহ বিভিন্ন গবাদিপশু-পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এ গাছের কান্ড জালানী কাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এছাড়াও জমিতে সূর্যমুখি চাষের মাধ্যমে শশ্যাবর্তন’র ফলে মাটির উর্বতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব মিলিয়ে উপজেলায় সূর্যমুখির চাষের সম্ভবনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে এ তেল বিজের স্থানীয় ভাবে ব্যবহার ও বাজার ব্যবস্থা আশানুরুপ ভাবে সৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পরেছে কৃষকরা। উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনা করে সরকারি মিল স্থাপনসহ সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে আসতে সচেতন মহল সরকারের আশু দৃষ্টি কামনা করেছন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD